*যেখানে শিল্প মেলে অন্তর্দেহের শান্তির সাথে: কলকাতায় আয়োজন ‘এসেন্স অফ সেন্সাস’ — এক আত্মজাগরণের যাত্রা
*
*কলকাতা, ২০শে আগস্ট, ২০২৫:* সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিকতার প্রাণকেন্দ্র কলকাতা এবার সাক্ষী এক অনন্য আয়োজনের। শান্ত পরিবেশে
পরশধামে শুরু হয়েছে হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া আধ্যাত্মিক প্রদর্শনী— *“ ইন্দ্রিয়ের সারমর্ম: যেখানে ইন্দ্রিয়গুলি প্রশান্তির সাথে মিলিত হয়”*। এটি শুধুমাত্র একটি প্রদর্শনী নয়, বরং অন্তর্মুখী যাত্রার এক নিবিড় অভিজ্ঞতা।
রাষ্ট্রসন্ত পরম গুরুদেব শ্রী নাম্রমুনি মহারাজ সাহেবের ঈশ্বরপ্রদত্ত প্রেরণা ও আশীর্বাদে, এবং পরম দিব্যতাজী মহাসতিজীর সান্নিধ্যে (আদি থানা ৬), এই প্রদর্শনী দর্শনার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছে—পাঁচ ইন্দ্রিয়, মন ও আধ্যাত্মিক চেতনার গভীর সংযোগ আবিষ্কারের পথে।
এটি কেবল শিল্প প্রদর্শনী নয়, বরং এক অভিজ্ঞতামূলক আধ্যাত্মিক যাত্রা—অন্তর্সচেতনতার উদযাপন ও মুক্তির আহ্বান। প্রদর্শনী তুলে ধরে, নিয়ন্ত্রিত না থাকলে ইন্দ্রিয় আমাদের জড়িয়ে রাখে জগতের মোহে, কিন্তু জাগ্রত হলে তারাই আমাদের নিয়ে যায় স্বচ্ছতা, শান্তি ও আত্ম-অনুভূতির পথে।
আধ্যাত্মিকতা ও আধুনিক শিল্পকলার সুন্দর সংমিশ্রণে এই প্রদর্শনীতে রয়েছে বহুমাত্রিক অভিজ্ঞতা—ইমার্সিভ অডিও-ভিজ্যুয়াল, অ্যানিমেশন, ইন্টার্যাকটিভ টাচস্ক্রিন, গেমিফাইড অভিজ্ঞতা, বর্ণিল দেওয়ালচিত্র এবং সূক্ষ্ম ৩ডি মডেল। প্রতিটি উপাদান নিখুঁতভাবে সাজানো হয়েছে দর্শকদের অনুপ্রাণিত করতে, আলোকিত করতে এবং নিয়ে যেতে স্থিরতা ও আত্ম-আবিষ্কারের পথে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি হয়েছিল ১৯শে আগস্ট, ২০২৫-এ, যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অতিথিরা—শ্রীমতী উষা বেন আভালানি পাইভার, শ্রী কিরণ বেন প্রদীপ ভাই বেলাওয়ালা, এবং মাতুশ্রী জয়াবেন জয়ন্তিলাল আজমেরা হাসতে প্রীতিবেন হর্ষদ আজমেরা। আরও উপস্থিত ছিলেন যোগেশ জি কানকারিয়া, প্রদীপ বেলাওয়ালা, বুলবুল শাহ, রূপচন্দগি সাওয়ানসুলা, রবীন্দ্র ভাগানি, চন্দ্রেশ মেঘানি, অশোক তুরাখিয়া, অশোক বাসানি, ঋষভ সি. কোঠারি, দিনেশ ঠাক্কার ও রুচিকা গুপ্তা সহ প্রায় ৬০ জন বিশিষ্ট প্রতিনিধি, যা প্রদর্শনীকে আরও সমৃদ্ধ করেছে আধ্যাত্মিকতা ও সংস্কৃতির গরিমায়।
PIC SANTANU DOLUI
MOBILE NO--7499910422
এই অসাধারণ উদ্যোগ সম্ভব হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২৫ জন শিল্পীর অক্লান্ত পরিশ্রমে। প্রতিদিন ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ৩৫ দিনের অনবরত সাধনায় তাঁরা এই প্রদর্শনীকে জীবন্ত রূপ দিয়েছেন। তাঁদের যৌথ প্রচেষ্টা সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে প্রদর্শনীর মর্মবাণী— *“একই সত্ত্বা, সর্বত্র সত্ত্বা।”*
‘এসেন্স অফ সেন্সাস’ এখন সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত—এক নিমন্ত্রণ, একটু থামো, ভাবো, আর নিজের ভেতরের সত্তার সাথে আবার সংযুক্ত হও।
Comments
Post a Comment