আইইএম–ইউইএম–এ সারা ভারতের মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সম্মাননাএসসিএনটিএসই ২০২৫ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উচ্ছ্বাস ও গর্বের আবহ
কলকাতা, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫:
ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (IEM) ও ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (UEM) গোষ্ঠীর উদ্যোগে আয়োজিত হল ‘ড. সত্যজিৎ চক্রবর্তী ন্যাশনাল ট্যালেন্ট সার্চ এক্সামিনেশন (SCNTSE–2025)’–এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। কলকাতার আইইএম ম্যানেজমেন্ট হাউস অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে সারা দেশের শ্রেষ্ঠ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সম্মান জানানো হয়।
এই জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা। তিনটি ধাপে — বাছাইপর্বের বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (MCQ), বিষয়ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষা এবং প্রজেক্ট–ভিত্তিক সাক্ষাৎকার — সম্পন্ন হয়েছিল এই কঠিন বাছাই প্রক্রিয়া। হাজার হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে থেকে নির্বাচিত দশ জন শ্রেষ্ঠ (পাঁচ জন ছাত্র ও পাঁচ জন ছাত্রী) পায় ₹১,০০,০০০ টাকার বৃত্তি ও সার্টিফিকেট অফ এক্সেলেন্স; মোট বৃত্তির পরিমাণ ₹১০,০০,০০০। সমান সংখ্যক ছাত্র ও ছাত্রীকে সম্মানিত করে আইইএম–ইউইএম গোষ্ঠী এক শক্তিশালী বার্তা দিয়েছে — বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় লিঙ্গসমতা ও সমান সুযোগই আগামী প্রজন্মের ভিত্তি।
এই উদ্যোগ উৎসর্গ করা হয়েছে প্রয়াত প্রফেসর (ড.) সত্যজিৎ চক্রবর্তী–র স্মৃতিতে। তিনি আইইএম–ইউইএম–এর প্রতিষ্ঠাতা ও ভারতের বেসরকারি প্রকৌশল শিক্ষার অন্যতম পথিকৃৎ। তাঁর বিশ্বাস ছিল — শিক্ষা শুধু কর্মসংস্থান নয়, জাতীয় উন্নয়ন ও মানব অগ্রগতির চালিকাশক্তি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. সত্যজিৎ চক্রবর্তী, আইইএম–ইউইএম গোষ্ঠীর ডিরেক্টর, বলেন—
> “এসসিএনটিএসই ২০২৫ আমাদের এই বিশ্বাসের প্রতিফলন যে, প্রতিটি শিশুর মধ্যেই অসীম সম্ভাবনা রয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আমরা খুঁজে পাই, লালন করি এবং উদযাপন করি ভারতের সেই তরুণ মেধাবীদের, যারা একদিন দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ গড়ে তুলবে।”
গোষ্ঠীর প্রেসিডেন্ট প্রফেসর বানানী চক্রবর্তী বলেন—
> “শিক্ষার আসল চেতনা অনুসন্ধান ও সৃজনশীলতায়। ড. সত্যজিৎ চক্রবর্তী এমন এক ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেখানে জ্ঞানই হবে শক্তি ও মুক্তির মাধ্যম। আজ এসসিএনটিএসই–র মাধ্যমে আমরা সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিচ্ছি।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, অধ্যাপক ও অভিভাবকরা। বিজয়ীদের সম্মান জানাতে গোটা অডিটোরিয়াম জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল উচ্ছ্বাস ও গর্বের আবহ। ছাত্রছাত্রীরা জানায়, এই প্রতিযোগিতা তাদের সমালোচনামূলক চিন্তাশক্তি, বাস্তব প্রয়োগক্ষমতা এবং আত্মবিশ্বাস বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
আইইএম–এর বেসিক সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ বিভাগের প্রধান ও এসসিএনটিএসই–২০২৫–এর কন্ট্রোলার ড. প্রবীর কুমার দাস বলেন—
> “এই পরীক্ষার উদ্দেশ্য কেবল জ্ঞান যাচাই নয়, বরং সৃজনশীলতা, কৌতূহল ও আন্তঃবিষয়ক চিন্তাধারার বিকাশ ঘটানো। এভাবেই আমরা ভবিষ্যতের জন্য গড়ে তুলছি এক নতুন প্রজন্মের চিন্তক ও উদ্ভাবক।”
অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয় আইইএম–ইউইএম গোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের শিক্ষা–অবদান। ইউজিসি, এআইসিটিই, এনবিএ ও এনএএসি (A গ্রেড)–এর স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এবং আন্তর্জাতিকভাবে QS I–GAUGE (Gold Category) সার্টিফায়েড এই প্রতিষ্ঠান আজ ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বেসরকারি শিক্ষাঙ্গন।
সংস্থার সাফল্যের তালিকায় রয়েছে শতভাগ প্লেসমেন্ট রেকর্ড, অত্যাধুনিক ৫জি ল্যাবরেটরি, প্রাইভেট ক্লাউড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও ৩০টি সেন্টার অব এক্সেলেন্স — যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স ও স্মার্ট সিস্টেম নিয়ে চলছে অগ্রগণ্য গবেষণা। তাদের ইনকিউবেশন সেন্টার ইতিমধ্যে ২৫০–রও বেশি স্টার্ট–আপকে সহায়তা করেছে এবং ৩০০–র বেশি পেটেন্ট অর্জন করেছে। পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুরে ‘স্টাডি অ্যাব্রড’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে আন্তর্জাতিক পরিসরে শিক্ষার সুযোগ।
করতালি ও আনন্দের আবহে পরিপূর্ণ এই অনুষ্ঠানের শেষে বার্তা একটাই—
শিক্ষাই ভারতের ভবিষ্যৎ গঠনের সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার।
এসসিএনটিএসই ২০২৫–এর মাধ্যমে আইইএম–ইউইএম গোষ্ঠী আবারও প্রমাণ করল — তারা কেবল জ্ঞান নয়, স্বপ্ন, নেতৃত্ব ও মানবিকতারও নির্মাতা।
PIC SANTANU DOLUI
MOBILE NO 7499910422
Comments
Post a Comment